ভিটামিন-ডি এর গুরুত্ব, অভাবের লক্ষণ ও করণীয়

ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব
ভিটামিন ডি শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি:
হাড় ও দাঁতের গঠন: ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণে সহায়তা করে, যা হাড় ও দাঁতের শক্তি বৃদ্ধি করে।
রিকেট প্রতিরোধ: ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেট হয়, যার ফলে হাড় নরম হয়ে বাঁকা হয়ে যায়।
ইমিউন সিস্টেম উন্নত করা: এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বারবার ঠান্ডা-জ্বরের ঝুঁকি কমায়।
স্নায়ু এবং পেশির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ: সঠিক ভিটামিন ডি শিশুর স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ
শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে:
হাড়ের সমস্যা: পা বাঁকা হয়ে যাওয়া (রিকেট), হাঁটু বা কনুইতে ব্যথা।
অবসাদ এবং দুর্বলতা: শিশুর ক্লান্তি, পেশি দুর্বলতা, বা সহজেই হালকা আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা।
বাড়ন্ত শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া: উচ্চতা বা ওজন ঠিকমতো না বাড়া।
ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: বারবার সর্দি, কাশি, বা ফ্লু হওয়া।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি: দাঁত দেরিতে গজানো, দাঁতের ক্ষয়।
অন্যান্য লক্ষণ: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া (বিশেষত মাথায়), খিটখিটে মেজাজ বা ঘুমের সমস্যা।
করণীয়:
১। প্রাকৃতিক উৎস (সূর্যের আলো):
সকাল ৮-১০ টা বা বিকাল ৩-৪ টার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট শিশুকে সূর্যের আলোতে রাখুন। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি উৎপাদনের প্রধান উৎস।
২। খাদ্য: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখুন।
মাছ: সামুদ্রিক মাছ (সালমন, টুনা, সার্ডিন)।
ডিমের কুসুম
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ বা পনির।
মাশরুম।
৩। সাপ্লিমেন্ট (Defrol OS)
৪। স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শিশুর রক্তে ভিটামিন ডি লেভেল পরীক্ষা করুন।
Defrol OS ডোজ (বয়স অনুযায়ী)
বয়স অনুযায়ী শিশুদের জন্য ভিটামিন ডি (Defrol OS) এর সঠিক ডোজ এবং সেবনের নিয়ম নিচে দেওয়া হলো। তবে, এটি সাধারণ গাইডলাইন মাত্র; নির্দিষ্ট ডোজের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
১। প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ডি (Defrol OS) এর ডোজঃ
প্রতিদিনের চাহিদা শিশুর বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। নিচে বয়স অনুযায়ী ডোজ দেওয়া হলো:
নবজাতক থেকে ১ বছর বয়স (০-১২ মাস): প্রতিদিন ৪০০ IU (৩ ফোঁটা)।
১-১২ বছর বয়সের শিশু: প্রতিদিন ৬০০ IU (৫ ফোঁটা)।
১৩-১৮ বছর বয়স (কিশোর-কিশোরী): প্রতিদিন ৬০০-১০০০ IU (০.৫ মিলি বা ৭ ফোটা)।
২। যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকেঃ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে বাচ্চার ঘাটতি জেনে চিকিৎসক উচ্চ মাত্রার ডোজ ব্যবহার করে থাকেন।
সেবনের নিয়ম
Defrol OS ড্রপার ব্যবহার করে মুখে সরাসরি বা পানীয়/খাবারের সাথে মিশিয়ে দেওয়া যায়।
খাবারের পরে সেবন করা ভালো, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে শোষণ ভালো হয়।
শিশুকে খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন যাতে অতিরিক্ত ডোজ না হয়।
সতর্কতা
অতিরিক্ত ডোজ এড়িয়ে চলুন: হাইপারভিটামিনোসিস ডি হতে পারে, যা ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি: দীর্ঘমেয়াদে সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার আগে রক্তে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করুন।
যদি সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় (যেমন বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা অতিরিক্ত পিপাসা): সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
© Dr-Adnan Al Berunie
MBBS, MS (Pediatric Surgery)
SCHP (Paediatrics) Australia, CCD
Child Specialist & Pediatric Surgeon
চেম্বারঃ
আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল
২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
রবি, মংগল ও বৃহ, বিকেল ৫ঃ০০ – ৭ঃ০০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556
ইউনিএইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন
2-A/1, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১।
শনি, সোম ও বুধবার, সন্ধা ৭ঃ৩০ – ৯ঃ৩০
সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01333702755
অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd
Share via: