শিশুর অপুষ্টি

malnutrition

আমাদের দেশে খুব কমন সমস্যা শিশুর অপুষ্টি। অনেক মায়েরাই এটা নিয়ে চিন্তিত। চলুন জেনে নেই কি কি প্রধান কারণে শিশুর অপুষ্টি হয়, কি করণীয়।

 ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম মেটাবলিজম ঠিক ভাবে হয়না। ফলে ক্যালসিয়াম এর অভাব হয়। হাড় হয়ে পড়ে দুর্বল। ভিটামিন-ডি’র ঘাটতিতেই কমে যেতে পারে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে আপনার শিশুর! ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন বাচ্চাকে ৩০ মিনিটের জন্য হালকা রোদে খেলতে দিন। এছাড়া কডলিভার অয়েল, চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুমে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি। ক্যালসিয়াম এর অভাব প্রতিরোধে ভিটামিন ডি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ, চিজ, ডিম এবং আমিষ জাতীয় খাবার দিবেন।

– ভিটামিন-বি১২’র ঘাটতিঃ নতুন রক্ত তৈরি, পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে সচল রাখতে ভিটামিন-বি১২ এর কোনও বিকল্প নেই। স্বাভাবিক কাজকর্ম সচল রাখতে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষই ভিটামিন-বি১২’র উপর নির্ভরশীল। কিন্তু শরীর নিজে থেকে এর উৎপাদন করতে পারে না। সে কারণেই দরকার পড়ে প্রয়োজনীয় খাবার আর সাপ্লিমেন্টের। এই ভিটামিন-বি১২ মিলবে কেবল প্রাণীজ খাবার থেকেই।

– ভিটামিন-এ’র ঘাটতিঃ শিশুদের চোখের সমস্যার প্রধান কারণ হলো এই ভিটামিন এ এর কমতি! তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে পারে শরীরে এর অভাব হলে। মিষ্টি আলু, গাজর, ছোট মাছ, শাক-সবজিতে ভিটামিন-এ থাকে ভাল মাত্রায়।

করণীয়ঃ

যাদের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগছে তাদের উচিত হবে ভালো শিশু চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে বাচ্চার শাররীক পরীক্ষা করা। চিকিৎসক বাচ্চার বিস্তারিত হিস্টোরি নিয়ে এবং শাররীক পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় টেষ্ট দিবেন এবং বাচ্চার অপুষ্টির কারন অনুসন্ধান করে বের করে চিকিৎসা করবেন। এসব বাচ্চার পুরো ইভোলিউয়েশন লাগবে। চোখ, বুক, মুখের ভেতর দেখতে হবে, চামড়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা লাগবে। রক্তস্বল্পতা আছে কিনা, মুখের ভেতর সাদা কাই বা ক্ষত আছে কিনা এসব গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার বার বার ডায়ারিয়া হচ্ছে কিনা, পায়খানার সমস্যা, কৃমি এসব বিস্তারিত হিস্টোরি ডাক্তারকে দিতে হবে।

ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে ঘরেই নিয়মিত কৃমির ঔষধ দিবেন। মাল্টি-ভিটামিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ইত্যাদি ২-৩ মাস খেতে পারবে। এছাড়া বাচ্চার খাবারে নজর দিতে হবে। অবশ্যই বাচ্চা খাবারের মাধ্যমে সঠিক প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করবেন। ওজন কম হলে বাচ্চার খাবারে আলু, মুরগী এবং বিভিন্ন রকম চর্বি যুক্ত খাবার বাড়িয়ে দিবেন। খেয়াল রাখবেন প্রতিবেলার খাবারে অবশ্যই যেন মাছ-মাছ বা ডিম থাকে। রুচি নষ্ট করে এমন খাবার পরিহার করবেন। বাচ্চার খাবার নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন।

© Dr-Adnan Al Berunie

MBBS, MS (Pediatric Surgery)

SCHP (Paediatrics) Australia, CCD

Child Specialist & Pediatric Surgeon

চেম্বারঃ 

আল-মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল

২১/১৭, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

রবি, মংগল ও বৃহ, বিকেল ৫ঃ০০ – ৭ঃ০০

সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01755515556

ইউনিএইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন 

2-A/1, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১। 

শনি, সোম ও বুধবার, সন্ধা ৭ঃ৩০ – ৯ঃ৩০ 

সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 01333702755

অনলাইন কনসালটেশনঃ m.me/cdc.dhaka.bd

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
error: Content is protected !!
Share via
Copy link