জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করতে বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লাগতো না। কিন্তু বর্তমানে বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ছাড়া বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন হয়না। তাই বাবা-মার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে আগে সেটা করতে হবে।

নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে সাবমিট দিতে হবে এবং সেটা প্রিন্ট করে যেসব ডকুমেন্ট দিয়েছেন সেগুলোও ফটোকপি/প্রিন্ট করে সেই ফর্মের সাথে স্থানীয় কাউন্সিলর অফিসে জমা দিতে হবে। সাধারণত জমা দেয়ার ২-৩ কর্ম দিবসের মধ্যে সার্টিফিকেট হয়ে যায়। জমা দেয়ার সময় তারা সব ডকুমেন্ট চেক করে কোন ভুল থাকলে পুনরায় ঠিক ভাবে আবেদন করতে বলে। এখানে উল্লেখ্য যে আবেদন করার পূর্বে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেটা বুঝে এসে আবেদন করতে পারেন। এতে ঝামেলা কম হয়।

ওয়েবসাইট: http://bdris.gov.bd/br/application

শুরুতেই আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করতে চান। জন্ম স্থান নাকি স্থায়ী ঠিকানা। এখানে যেটা সিলেক্ট করবেন তার উপড় নির্ভর করে আপনাকে সেই ঠিকানার কাউন্সিলর অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন:
১. চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র বা সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট।
২. পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ঘোষিত স্থায়ী ঠিকানা বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল , খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)

ওয়েবসাইটে শুধু এই দুটো ডকুমেন্ট উল্লেখ থাকলেও আসলে আরো অনেক ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। যেমন: ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে বয়স প্রমাণের জন্য বাচ্চা জন্মের সময় হাসপাতাল থেকে ছুটির কাগজ বা হাসপাতাল কর্তৃক দেয়া প্রত্যয়ন পত্র। আগে টীকার কাগজ দেয়া যেতো, এখন এটা চলে কিনা আমার জানা নাই। এরপর স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস। এর মধ্যে রয়েছে হালনাগাদ কর পরিশোধের কাগজ বা বাড়ি ক্রয়ের দলিল। একই সাথে বাবা-মার NID এবং যদি বাড়ি দাদা-দাদী, নানা-নানীর নামে হয় তবে তাদের NID এবং তার সাথে আপনার সম্পর্ক এবং আপনার বাচ্চার সাথে আপনার সম্পর্ক প্রমাণের ডকুমেন্টস (NID বা পাসপোর্টে পিতা মাতার নাম উল্লেখ থাকে সেটাই প্রমাণ হিসাবে কাউন্ট করে)। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক প্রমাণের জন্য বিয়ের দলিল প্বারয়োজন হয়। তবে পাসপোর্টে স্ত্রী বা স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলে পাসপোর্টের কপি দিলেও কাজ হবে।

** এখানে একটা বড় ব্যাপার হলো অনলাইনে ডকুমেন্ট সাবমিট করার শুধু ২ টা ঘর আছে। কিন্তু আপনাকে ডকুমেন্ট দেয়া লাগে ৫-৬ টা বা তারও বেশি। এজন্য একটা ছবিতে ৩-৪ টা পর্যন্ত ডকুমেন্ট জয়েন দিয়ে সেটাকে ওয়েবসাইটে উল্লেখিত লিমিটের সাইজে ভেতর রেখে সাবমিট করতে হয়।

আবেদন সঠিক ভাবে আবমিট করার পর কাউন্সিলর অফিসে সামান্য কিছু খরচ (সরকারী ফি ১৫০ টাকা) দিতে হয়।  জমা দেয়ার ২-৩ কর্মদিবসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। 

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
error: Content is protected !!